কিভাবে প্রশংসা করলে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি খুশি হয় জেনে নিন। ধরে নিলাম আপনি আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের সাথে রিলেশন করেন নি। এটাও মেনে নিলাম কিন্তু আপনি আজও কোন মেয়েকে কখনই কোনভাবে প্রশংসা করেন নি। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিব না। কারণ প্রতিটি ছেলে কোন মেয়েকে কখনো না কখনো প্রশংসা করে।
কারণ সব ছেলে মেয়ের প্রশংসা পেলে খুশি হয়। বা প্রশংসা করলে মেয়েদের কে খুব সহজে পটানো যায়। আর তাই প্রশ্ন করার সুযোগ পেলে কোন ছেলে সুযোগটা হাতছাড়া করে না। কিন্তু আসল সমস্যা হলো আমি মেয়ে হয়ে বলতেছি 95% ছেলেমেয়েদেরকে সঠিক নিয়মে প্রশংসা করতে জানেনা।
অর্থাৎ কোন মেয়েকে কোন প্রশংসা করতে হবে। কোন সময় কোন প্রশংসা করতে হবে। কোন প্রশংসা কোন মেয়েকে করা যাবে আর কোন মেয়েকে করা যাবে না ইত্যাদি।
অনেক পাওয়ারফুল হওয়া সত্বেও খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে ঔষধ কাজ করে না আর তাই আজকের পোষ্টে ওষুধ খাওয়ানোর প্রশংসা করার সঠিক কৌশল। আমি সেখানে যাচ্ছি তাহলে আর দেরি কেন পোষ্টটি শুরু করা যাক।
মেয়ে পটানোর টিপস সমূহ
কোন মেয়েকে কোন প্রশংসা করতে হবে। হ্যান্ডসাম ছেলেদের মূল সমস্যাটা এখানেই। তারা শুধু জানে প্রশংসা করলে মেয়ে পটে কিন্তু তারা এটা জানে না যে কোন প্রশংসা কোন মেয়েকে করলে কাজ হবে। একটা জিনিস মাথায় ঢুকিয়ে নেয় যে মেয়ে দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর। আপনি তার রূপের হাজার প্রশংসা করলেও কোন লাভ নাই। যে মেয়ের কন্ঠ সত্যিই অনেক সুন্দর আপনি তার কণ্ঠের যত সুন্দর করে প্রশংসা করেন কোন লাভ নাই।
যে মেয়ের হাসি সত্যি অনেক সুন্দর আপনি হাসির যতই প্রশংসা করেন কোন লাভ নাই। এর পিছনে দুটি কারণ আছেঃ
- ০১) মেয়েরা সারাদিন আয়না নিয়ে পড়ে থাকে। কাজেই মেয়েটি যদি সত্যি সত্যি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। তাহলে সেটা খুব ভাল করেই জানে। আর হাসি যদি সত্যিই সুন্দর হয়ে থাকে, তাহলে সেটা খুব ভাল করেই জানে। আপনার থেকে জেনে খুশি হওয়ার কিছুই নেই কারো।
- ০২) যদি সত্যি সত্যি দেখতে সুন্দর হয়ে থাকে। তাহলে আপনি 100% কনফার্ম দেখেন আপনারা আগে কয়েকজন সহজভাবে তার রূপের অনেক প্রশংসা করে ফেলেছে। এখন আপনিও সেই প্রশংসা করে চলছেন। আর যে কথাটি মেয়েদের আগে বহুবার শুনেছি সেই একই কথা আপনার থেকে শুনে মেয়েটি কেনইবা খুশি হবে।
বলুন তার চেয়ে আপনি যদি তার প্রশংসা করে বলতেন তোমার গাল গুলো অনেক সুন্দর। তাও তো মেয়েটি এটা ভেবে খুশি হয়ে যেত, যে যাক নতুন একটা প্রশ্ন পেলাম ।মেয়েটা আপনার প্রশংসা পেয়ে বাসায় গিয়ে সারাক্ষণ তার গালগুলো দেখতো।
আর ভাবতো সত্যিই কি আমার বাল গুলো এত সুন্দর আর সুন্দর না হলে সে বলল কেন এতক্ষণ থেকে গাল বলতো।
ও আসলে মূল বিষয়টা হলো যে মেয়েদের সত্যি সত্যিই এগিয়ে আসে। সেই মেয়েকে সেই সম্পর্কিত প্রশংসা করে লাভ নাই। বরং তাকে অন্য কোন প্রশংসা করতে হবে যে প্রশ্নগুলো তাকে কে আজও করে নিচের প্রশ্নগুলো যত ছোট ছোট ব্যাপার এর উপরে হোক না কেন। সেই প্রশ্ন গুলো আপনার থেকে সর্বপ্রথম পাওয়ার কারণে মেয়েকে অটোমেটিক আপনার উপর খুশি হয়ে যাবে।
- আরও পড়তে পারেনঃ প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার টিপস। এই কথাগুলো বলে দেখুন
নতুন মেয়ে পটানোর টিপস
এবার পয়েন্টে কোন প্রশংসা কোন সময়ে করতে হবে। দেখা যায় ছোট্ট একটা প্রশ্ন সহ আপনি যদি পারফেক্ট সময়ে করতে পারেন। তো সেটা কেউ অনেক বড় মনে হয়। সেটাও মেয়েটির মন ছুয়ে যায় আবার অনেক বড় একটা প্রশংসাও। আপনি যদি অসৎ একটা সময়ে আদায় করেন সেটাও কোন কাজেই আসে না। বরং মেয়েকে আরো বিরক্ত হয়ে যায় জানিও।
উদাহরণ না দিলে কি আর বুজবেন না কারন আপনার বান্ধবীকে দেখে আপনি যদি এমনি বলেন তোকে সেই সুন্দর লাগছে তাহলে সে ভাবে আজকে আবার আমাকে সুন্দর লাগার মত কি হলো? তাই সে ব্যাপারটা মোটেও সিরিয়াসলি নিবে না। কিন্তু যেদিন দেখলেন আপনার বান্ধবীর নতুন কোন ড্রেস পড়েছে বা নিউ স্টাইল এ সেজে এসেছে; সেদিন যদি তাকে দেখে বলেন তোকে সেই সুন্দর লাগছে। সেই সুন্দর লাগছে তাহলে সে ভাবে আজকে আবার আমাকে সুন্দর লাগার মত কি হলো?
রাগি মেয়ে পটানোর টিপস
তাই সে ব্যাপারটা মোটেও সিরিয়াসলি নিবে না। কিন্তু যেদিন দেখলেন আপনার বান্ধবীর নতুন কোন ড্রেস পড়েছে বা নিউ ফন্ট স্টাইল এ সেজে এসেছে। সেদিন যদি তাকে দেখে বলেন তোকে সেই সুন্দর লাগছে। এবার কিন্তু মেয়েটির ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিবে। এবং আপনার প্রশংসায় আপনার উপর সেই খুশি হয়ে যাবে।
আবার মনে করুন আপনি একটা মেয়েকে হুট করে বলতেছেন তোমার হাসি অনেক সুন্দর লাগে মেয়েটি ভাববে আমি কবে সামনে হাসলাম। তাও আবার এতো সুন্দর করে কবে হাসলাম; মনে পড়ছে না। কিন্তু যদি এমন হয় যে মেয়েটি আপনার সামনে হাসতেছে, আপনি অবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে তার হাসি দেখলেন।
এবং তার হাসিটা থামার পর আপনি তাকে বললেনঃ তোমার হাসি কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে। এবার কিন্তু এর প্রশংসা একদম মেয়েটির মন ছুয়ে যাবে। অর্থাৎ মূলকথা হলো পরিস্থিতি বুঝে সেই পরিস্থিতির উপর প্রশংসা করতে হবে। তবে সেটা কাজে আসবে আরধনা এত টুকুতেই বুঝবেন।
আর না বুঝলে সিঙ্গেল মরে নাম কি কোন প্রশংসা কোন মেয়েকে করা যাবে আর কোন মেয়েকে করা যাবে না।
ফেসবুকে মেয়ে পটানোর টিপস
ভাইরে ভাই! ফেসবুকে মেয়ে পটানোর টিপস সম্পর্কে কি আর বলব এব্যাপারে বলতে গেলে বলার আগে ইচ্ছে করে আপনাদেরকে গাছের সাথে বেঁধে আগে ইচ্ছামত পেটাই। তারপর বুঝায় কারণ আমি দেখেছি ফেসবুকে আমাকে যখন কোন অপরিচিত ছেলে নক করে! আর আমি তাদের রিপ্লাই দেই তখন তাদের সাথে দু-একটা কথা হতে না হতেই তারা এমনভাবে প্রশংসা করা শুরু করে; যেভাবে আমার সবচেয়ে কাছের কোন বন্ধু প্রশংসা করার কথা না।
আর প্রশংসা করে যে আমি কনফিউশনে পড়ে যায়। এরা আমাকে মনে হয় আগের জন্ম থেকে চেনে হয়তো বা আমার ন্যাংটাকালের বন্ধু! তখন খুশি হওয়া তো দুরের কথা ইচ্ছে করে মাজাই লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দেই।
মেসেঞ্জারে মেয়ে পটানোর টিপস
তো যাই হোক মূল কথা হলো যে কোন মেয়েকে প্রশংসা করার আগে আপনাকে বুঝতে হবে: আপনি যে মেয়েকে প্রশংসা করতে যাচ্ছেন। তার সাথে আপনার কেমন সম্পর্ক। এবং সেই সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে আপনাকে সবসময় সিলেক্ট করে নিতে হবে। কোন প্রশংসা তাকে করা যাবে আর কোন প্রশংসা করা যাবে না।
কারণ সম্পর্ক তিন ধরনের হতে পারেঃ
- ০১) অপরিচিত মেয়ের সাথে পরিচিত হওয়া।
- ০২) অনেক দিনের পরিচিত মেয়ে অথবা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এমন মেয়ে।
- ০৩) গার্লফ্রেন্ড।
অচেনা মেয়ে পটানোর টিপস
বাজে মেয়ের সাথে আপনি একদম ফ্রি! এমন মেয়ে এখন কথা হল যে প্রশ্নগুলো কেবলমাত্র পরিচিত মেয়ে। বাজার সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক আছে এমন মেয়ের ক্ষেত্রে সাজে এমন পুরুষ এগুলো আপনি যদি কোনো অপরিচিত মেয়ের সাথে পরিচিত হলেন। এমন মেয়েকে করেন তাহলে সেই প্রশ্ন গুলো তো মেয়েটি সিরিয়াসলি নিবে না বরং আপনার উপর বিরক্ত হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক আবার মনে করুন আপনি একটা মেয়ের সাথে কিছুদিন হল পরিচিত হয়েছেন।
এবং তার সাথে আপনার সম্পর্ক জমতেছে এর মাঝেই আপনি যদি তার প্রশংসা করে বলেন তোমার ঠোট গুলো সে সুন্দর। বা তোমাকে সেই হট লাগে! তাহলে এটাও বিরাট বড় একটা বক্সের কাজ হবে। যেভাবে বুঝে গেছে আমি এতক্ষণ কি বোঝানোর চেষ্টা করলাম।
আর যারা এখনও বুঝেন নি তারা ভালো দেখে একটা কোল বালিশ বানিয়ে নেয়। কারণ আপনার কপালে গার্লফ্রেন্ড এটা মোটেও সম্ভব না।
মেয়ে পটানোর টিপস সম্পর্কে ইতিকথা
উপরে আমি উল্লেখিত যেভাবে মেয়ে পটানোর টিপস সম্পর্কে বললাম। আপনি যদি সেগুলো ফলো করেন তাহলে আশা করি আপনার সিঙ্গেল লাইফের অবসান ঘটবে। এবার দেখি কিভাবে আপনি মিষ্টি ছাড়া আত্মীয়র বাড়িতে যেতে পারেন! কোন মেয়ের প্রেমে পড়তে গেলে অবশ্যই আপনাকে উপরের টেকনিকগুলো ফলো করতে হবে।
উল্লেখিত প্রেম করার টেকনিক এবং মেয়ে পটানোর টিপসগুলো তাদের জন্য যারা অন্তত 18 বছর বয়সের অনূর্ধ্ব বা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন। আর যদি ইতিমধ্যে আপনার প্রেমিক বা জীবনসঙ্গী থাকে, তাহলে তাকে নিয়ে সারা জীবন সুখের জীবন যাপন করুন।
এবং যারা করে নিজের জীবনে চলার পথে একজন জীবনসঙ্গীকে চাচ্ছেন তাদের জন্য উপরের মেয়ে পটানোর টিপস গুলো আশাকরি খুবই কার্যকরী হবে।যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে বা নিজের মনোভাব থেকে কিছু বলতে চান, তাহলে অনুগ্রহ করে কমেন্ট করুন। ভালো থাকবেন।