প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কথা (Priyo manush ke niye kichu kotha)
প্রিয় পাঠক! ভালোবাসার ছোঁয়ায় নিজেকে রঙিন করতে আমরা কম বেশি সবাই চাই। আজকের এই পড়বে প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কথা ও উক্তি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। মানুষ মাত্রই আমরা আমাদের বিপরীত পাশের সঙ্গীকে মনের ভাব প্রকাশ করতে এবং হৃদয়ে লুকায়িত সত্য বাসনাকে জাগ্রত করার জন্য প্রিয় জনকে নিয়ে কিছু উক্তি নিয়ে আজকের আয়োজন।
প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কথা
এই পর্বে প্রথমেই থাকবে প্রিয়তম/প্রিয়তমাকে নিয়ে কিছু কথা! যেখানে থাকবে মান অভিমান কিংবা অতীত স্মৃতি অথবা হারানোর ব্যথা বেদনার বিভিন্ন স্মৃতি কাতর ইতিহাস। এবং আপনার প্রিয় সঙ্গীর প্রতি আপনি কি রকম মনোভাব প্রকাশ করতে পারেন সে বিষয়ে থাকবে বিশেষ কিছু উক্তি। তো চলুন শুরু করা যাক…
শিল্পপতির প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কষ্টের কথা
দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি মোহাম্মদ জয়নাল হাজারী (২৪ আগষ্ট ১৯৪৫ – ২৭ ডিসেম্বর ২০২১) তিনি তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে অতীতের কষ্টকে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ
“আমি তার বিচার চাই এজন্যই, কারণ তার সাথে আমাদের কথা হয়েছিল যে আমরা একে অপরকে ছাড়া কখনোই অন্য কাউকে বিয়ে করব না। কিন্তু সে পরবর্তীতে বিয়ে করে ফেলেছে এবং অন্য কারো সাথে জীবন যাপনে ব্যস্ত আছে। তো আমার আবেগময়ী প্রশ্ন এটাই যে কেন সে আমার সাথে এরকমটা করতে পারল? কেন সে আমাদের একসাথে করা ওয়াদাকে ভঙ্গ করে অন্য কাউকে নিজের জীবনে স্থান দিল! এজন্যই আমি তার বিচার চাই।”
আমাদের দেশের কথিত প্রবাদ বাক্য রয়েছেঃ পৃথিবীতে অনেক পুরুষ মানুষ মেয়ের সাথে প্রেম করে সারা জীবন অবিবাহিত রয়েছে, কিন্তু কোন মেয়ে মানুষ পুরুষের সাথে প্রেম করে, প্রেম ভঙ্গ করার পর কখনোই অবিবাহিত থাকেনি। বরং সে কাউকে না কাউকে বিয়ে করে ফেলেছে।
প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে কিছু কথা
আরো একজন তার প্রাক্তন প্রেমিকার ব্যাপারে খুব প্রকাশ করে উক্তি করেছেনঃ আমি আমার প্রাক্তন কে কখনোই ক্ষমা করব না। কারণ পৃথিবীর সকল প্রেমিক পুরুষ যদি তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ক্ষমা করে দেয়, এবং পৃথিবীতে যদি এমন নাম উঠে যে এই মানুষটি তার অতীতের প্রিয়জনকে ক্ষমা করেনি। এবং সেই ব্যক্তিটি যদি আমি হই, তবুও আমি তাকে ক্ষমা করব না। পিস্তল থেকে বুলট বের হয়ে বুকে লেগে গেছে, এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও আমি আমার প্রাক্তন কে কখনোই ক্ষমা করব না।
আমি আবার প্রাক্তন কে ক্ষমা করার কোন মানে কিংবা অপশনই দেখি না। ক্ষমা করার কোন প্রশ্নই উঠে না। আমার প্রাক্তন যদি আমার চাইতেও কোন বেটার বা উত্তম কাউকে পেয়ে আমাকে ছেড়ে চলে যায়, আমার চাইতেও বেশি ধন সম্পদশালী পেয়ে তার কাছে যদি সে চলে যায়।
সেরকম স্বার্থপর প্রাক্তন কে ক্ষমা করার আমি কোন মানেই দেখি না। আমি তো তাকে ছাড়া ভালো নেই আমি তো এখনও ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বসে তার জন্য কান্না। বেলা অবেলায় বালিশের কভার ভেজাই।
আমি তার জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করেছি, তার খেয়াল ভালো লাগা মন্দলাগাগুলোকে আমি আমার মতো করে দেখেছি। কিন্তু একটা সময়ে এসে সে আমার চাইতে উত্তম কাউকে পেয়ে, এবং আমার চেয়ে বেশি সম্পদশালী অথবা অনেক স্মার্ট আউট লুকিং দেখে আমাকে ছেড়ে ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাহলে আমি তাকে কেন ক্ষমা করব?
প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু হতাশার কথা
অন্য একজন ব্যক্তি তার অতীত স্মৃতিতে হতাশ হয়ে কিছু বাক্য বলেছেনঃ আমার কোন প্রাক্তন নেই! বলতে পারেন আমি রাখিনি। আমার মনে কিংবা মস্তিষ্কে, আমার হৃদয়ের টুকরোর ভেতরে কিংবা আমার নিউরনে তাকে আমি রাখিনি। কেনই বা রাখব? কারন যে মানুষটা চিরজীবন একসাথে থাকার সর্বোচ্চ প্রতিজ্ঞা দিয়ে একটা সময় সে আমার হাত ছেড়ে চলে গেছে! কারণ শুধুমাত্র আমি মধ্যবিত্ত!
তাকে কেন মনে রাখি আমার জীবন টাকে আমি ধ্বংস করব? আমি যে মানুষটার নামই শুনতে পারতাম না, সেই মানুষটাই হৃৎপিণ্ডে জায়গা দখল করার পর হঠাৎ করে মাঝপথে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। অন্য কোন আমার চাইতে উত্তম হাতকে ধরে। তাকে আমি কেন মনে রাখব, কেন রাখব, কেন?
প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু আবেগী কথা
অনেক মেয়ে তার প্রাক্তন প্রেমিকের বিষয়ে আবেগি ময় অতীতের খুব প্রকাশ করে বলেছেঃ হাহ, তুমি কত রকমের কথাই না দিয়েছিলে! দিনশেষে সবগুলো কথা তুমি রাখতে পেরেছে তো?
অন্য আরেকজন প্রেমিকা তার অতীত প্রেমিককে নিয়ে আবেগ প্রকাশ করেছে, তিনি বলেছেনঃ অনেক কথাই আমার ভেতরটাকে চুরমার করে দেয়। তবে আমি এমন ভান করি, যেন কোন ব্যথাই আমি পাইনি।
প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কষ্টের কথা
বিখ্যাত একজন নায়ক, যখন তিনি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন নি। সে সময়ে তারা একজন প্রেমিকা ছিল! সময়ের বদৌলতে যিনি আজ তার প্রাক্তন হয়ে গিয়েছে। সেই প্রাক্তনকে নিয়ে কিছু কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেনঃ “ সে আমাকে এতটাই কাঁদিয়ে ছিল, ওই যে বলে না; জাহান্নাম। সে আমাকে দুনিয়াতে জাহান্নাম দেখিয়ে দিয়েছিল।
প্রতিনিয়ত পৃথিবী ব্যাপী নারী এবং পুরুষের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক থেকে একটা পর্যায়ে দুইটা জিনিস হয়ে থাকে। ১) হয়তো তাকে সে চিরতরে পেয়ে যায়। ২) অথবা পরস্পর পরস্পর থেকে অকারণে সারা জীবনের জন্য হারিয়ে যায়।
পৃথিবীতে সুখ সমৃদ্ধি কিংবা ভালোবাসার যত আয়োজনই থাকুক না কেন। দিনশেষে স্বার্থের কাছে সবকিছুই হেরে যায়। তবে টিকে থাকে শুধুমাত্র শক্ত ও উপকৃত ভালোবাসা। কিন্তু স্বার্থের এই দুনিয়াতে প্রকৃতপক্ষের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়াটা আজ খুবই দুষ্প্রাপ্য এবং বিরল হয়ে উঠেছে। তাইতো প্রিয় মানুষকে বলতে গেলে ভালবাসার স্মৃতি কাতরতা মনের কুঠোরে জেগে ওঠে।
নিচে প্রিয় মানুষকে নিয়ে একটি কষ্টের প্রবন্ধ লিখলামঃ
প্রিয় মানুষকে নিয়ে কবিতা
ভেঙ্গে গেছে হৃদয়, তুমি চলে গেছো অভিমানে!
এখন থাক! আর এসোনা স্মরণে,
এই হৃদয়ের মজলিসে পুনরায় আসার জন্য,
আর কষ্ট করো না। এবার ছেড়ে দাও প্লিজ!
এটা সত্য যে, মধুর অতীতের সময় গুলো ভুলে যাওয়া অতটা সহজ নয়!
এটাও সত্য যে, জ্বলন্ত শিখা থেকে নিজের পরিধে রক্ষা করা কোন খেলা নয়।
রক্তক্ষরণ হতে থাকা, হৃদয়ের ক্ষতকে দুনিয়া থেকে লুকানো খেল তামাশা নয়।
দৃষ্টির পাতা থেকে মুক্তির উচ্ছলতা, মুছে ফেলাটা কোন খেলা নয়।
কিন্তু তোমার আর আমার এই ভালোবাসার কবিতা, এই সময়টাতে আর শুনিও না, থাক।
যে আগুন এ হৃদয় চাপা পড়ে আছে! সেটার জমানে এনোনা, থাক।
প্রিয় মানুষকে নিয়ে ভালোবাসার চিঠি
প্রিয়!
আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছো? জানি আলহামদুলিল্লাহ ভালই আছো। কেননা মানুষের স্বভাবগত চরিত্র হলোঃ তাকে ভেবে কেউ কষ্ট পাচ্ছে জেনে সে কিছুটা সুখ অনুভব করে। জানি আমার না বলা কথাগুলো তুমি পর্যন্ত পৌঁছাতে এই সুখটা তোমার কাছে আরো কিছুদিন বিদ্যমান থাকবে। বিধাতা যখন অনুভূতি সৃষ্টি করেছেন তখন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে ভালো লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা তাই ভালো লাগাকে কতটা পবিত্র রাখতে পারছি? সেটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
আমার প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কথাঃ আমি তোমার বিষয়ে কতটা অধিকার প্রবন্ধ হয়ে উঠেছি। এটা তোমাকে বোঝানোর আগে আমি জানতে চাই, তুমি তোমার জীবন নিয়ে কি ভাবছো? কারণ প্রত্যেকের কাছে তার ভালোবাসার মানুষের সংজ্ঞা। কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো উপসংহার।
তোমাকে না পেলে মরে যাব। টাইপের ভালবাসা হয়তো তোমাকে দিতে পারবো না কিন্তু একটা সম্পর্ক সুন্দর ও অটুট রাখতে যতটুকু ছাড় দেওয়া প্রয়োজন ততটুকু ছাড় দিতে আমি রাজি। আমার কাছে মনে হয়, ভালোবাসি বলার প্রয়োজন নেই।
আর যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, সেখানে ভালবাসা থাকে না। তাই তোমাকে আমার মত করে ভালবাসার অধিকারটা নিতে চাই। ভালো থেকো, আল্লাহ পাক যদি ভাগ্যে তোমাকে লিখে রাখে। তাহলে দেখা হবে জীবন তরীতে। গন্তব্য না হয় দুজন মিলে ঠিক করব! আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় মানুষের অনুভূতি নিয়ে কিছু কথা
একটা বয়সের পর আর কারো জন্য মন থেকে পাগলামি করা কিংবা অধিকার খাটাতে ইচ্ছে করেনা। যেমনটা ইচ্ছে করেছিল প্রথম সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটার উপর। কেউ ব্যস্ততার অজুহাত দেখালে রাগ হয় না কিংবা কোন খবর না নিলেও খুবই মানে হয় না। এখন আর নিত্য নতুন বাহানা কিংবা ইচ্ছে করেই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে না খুব। জানতে ইচ্ছে করেনা কারো সারাদিনের খবর।
আগে সব আবেগের মাঝে ছিল। এখন সব বাস্তবতায় চলে আসছে। নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর জীবনে অনেক কিছুই বদলে যায়। বদলে যায় মনের সব অনুভূতিও। প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু অনুভূতি হলো: বাস্তবতার কারণেই হোক কিংবা কখনো ভুল কোন মানুষের প্রতারণা শিকার হয়ে মানুষকে যখন জীবনের মর্মটা বুঝতে পারে। ঠিক তখনই উপলব্ধি করতে পারে নাটক কিংবা সিনেমার মতো জীবনের গল্পটা সাজানো যায় না।
প্রথম যে মানুষটার উপর একবার মন আটকে যায়। সেই মানুষটা চলে গেলে পুরো জীবনটাই বদলে যায়। পরে তার থেকে আরো যত সুন্দর কিংবা ভালো মানুষের জীবনে আসুক না। ওই চলে যাওয়া মানুষটার মত অনুভূতি আর কোন মানুষের উপর পড়ে না। আর কারোর ওপর মন আটকে যায় না জীবন তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না। তাই একটা পর্যায়ে নতুন মানুষ আসে, এবং তার মতো করেই ভালোবাসতে শুরু করে।
একটা পর্যায়ে এসে ধীরে ধীরে মানুষটা মায়া আটকে যায়। কিন্তু কেনো মানুষটার উপর আগের মতো অনুভূতিটা আর ফিরে পাওয়া যায় না। জোর করে হলেও মনে শূন্যস্থানে মানুষটাকে বসানো যায় না। ভেতরটা হয়ে যায় অনুভূতিহীন। তবুও কাউকে শুধুমাত্র জীবনের জায়গা দিতে হয়। কারণ মনের জায়গা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যায়। খুব সহজেই কাউকে বসানো যায় না যদি না ভেতর থেকে মানুষটার জন্য ডাক না আসে জীবনের কন্ট্রোল মানুষের কাছে থাকে। শুধুমাত্র মনের কন্ট্রোল টাই আমাদের কাছে থাকে না সবকিছু ক্ষেত্রে অনুভূতিটা হয় বিশুদ্ধ। নির্ভেজাল।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সবার জীবনে প্রথম মানুষটা চিরকাল স্থায়ী হয়ে থাকতে পারে না। পুরুষের সময়ে কিংবা হারিয়ে যায় এমন একটা মানুষ দরকার যার সম্পূর্ণটা একান্তই আমার হবে। নিজের ইচ্ছে মতো করে তাকে গড়ে তোলা যাবে নিজের গোপন কথাটা এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলা যাবে তা মানুষ দরকার হবে না।
আছে আমার নিজেকে প্রকাশ করতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হবে না। মায়ের কাছে যেমন নিরাপদ ঠিক ওই মানুষটার কাছেও যেন আমি তেমন মেয়ের সকল চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে গিয়ে যে আমাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে এমন একটা মানুষ।
বিয়ের পর প্রিয় সঙ্গীনিকে নিয়ে কিছু কথা
তার পৃথিবীতে একমাত্র নাগরিক যেন আমি থাকি, আর কেউ না। ঠিক এমন একটা মানুষ দরকার হুবহু এমন তার অতি বর্তমান ভবিষ্যৎ সব যেন আমি হই সত্যি কি এমন মানুষ পাওয়া যায়। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ গুলো টিকে কম। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে বয়সের ডিফারেন্স! বাঙালি মা-বাবারা তাদের মেয়ের বয়সের চাইতে ডাবল বয়সে পাত্রের সাথে বিয়ে ঠিক করে ফেলে। বিয়ের পরে বরের সাথে মদের মিল হয় না একজন নামে বয়স কে রাখা অনেক বেশি কঠিন।
প্রতিষ্ঠিত পাত্র খুঁজে খুঁজে হয়রান হয় কিন্তু মেয়ে যার সাথে সংসার করবে তার সাথে মেয়ের বন্ডিং ভালো না সেদিকে তাদের বিন্দুমাত্র চিন্তা থাকে না। ঝগড়া হাজারটা মতে রঙিন এরপর অনেক সম্পর্ক ভেঙে যেতেও দেখেছি। প্রতিষ্ঠিত পাত্র দেখেই মেয়ের জিবনে হুট করে এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।
জীবণে টাকা ছাড়াও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয় আমাদের। যার সাথে সংসার করবে সে যদি তাকে বুঝতে না পারে তার সাথে যদি মতের মিলমিশ না হয়। তবে সে সংসার টিকিয়ে রাখা আর গলায় কাঁটা বাঁধিয়ে রাখা সমান।
প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু শেষ কথা
জীবনে বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি হয়তো অনেক পিছিয়ে আছেন অন্য সবার চেয়ে। হয়তোবা এখন আপনার অনেক টাকা সম্পদ নেই, অথবা আপনার প্রিয় সঙ্গীটি আপনার ভরণপোষণের জন্য পর্যাপ্ত দায়িত্ববান হয়ে উঠতে পারেনি। তাই বলে ওই না যে সারা জীবন সে দূর অবস্থায় থাকবে অথবা সবসময় তার জীবনে খারাপ সময় বহমান হবে। যেমন প্রতিটি জিনিসের শুরু আছে, তেমনি শেষও রয়েছে। ঠিক তেমনি কোন এক সময় দেখতে দেখতে খারাপ সময় গুলো ফুরিয়ে ভালো সময়ের দিন চলে আসবে।
সবশেষে প্রিয় মানুষকে বলতে চাইঃ অনেকেই বলে থাকে, যেখানে মন্দের শেষ হয় সেখান থেকে ভালোর শুরু। প্রবাদ বাক্য রয়েছে, দুঃখের পরেই সুখ আসে।
আজ হয়তো আপনার সঙ্গী বা প্রিয়জন জীবন যুদ্ধে লড়ছে। মনে রাখবেন যদি আপনি তার সঙ্গে জীবনের এই কঠিনতম সময়ে একসাথে সুখ-দুঃখ ভাগ করে তার সঙ্গে জীবন যুদ্ধে না লড়েন, তাহলে যখন ভালো সময় চলে আসবে তখন হয়তোবা তার হৃদয় আপনি আর আগের মত জায়গা করে নিতে পারবেন না। তাই প্রিয় মানুষটিকে কখনোই হারাবেন না!
পড়তে পারেনঃ প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার টিপস এই কথাগুলো বলে দেখুন
টাকা-পয়সা, অর্থ-সম্পদ, দামি বাড়ি গাড়ি, কিংবা বিলাসবহুল প্রাসাদ ও পরিধেয় বস্ত্র এগুলো আজ আছে তো কাল নাও থাকতে পারে। তবে সব সময় যে জিনিসটা থাকবে, সেটা হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা।
সুতরাং প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কথা হিসেবে এটাই বলবোঃ স্বার্থের অজুহাতে আপনার প্রিয় সঙ্গীকে কখনোই হারাবেন না। এটাকে জীবনের ভাগ্য বদলানোর সিদ্ধান্ত বলা যায় না, প্রতারণা করা হয়। ভালোবাসুন সবসময়, আর ভালো থাকুন সারা জীবন। শুভকামনা রইল।